
মনিরুল ইসলাম,বিশেষ প্রতিনিধি//
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে দেলোয়ার হোসেন শাহিন (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে অপর দুই দুই যুবকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে শাহিন শরীরের যন্ত্রনা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
সোমবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শাহিন পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাকের পুত্র। সে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় আমতলী ডঃ শহিদুল ইসলাম কলেজের অফিস সহকারী আমতলীর পদে কর্মরত আছেন।
আহত শাহিন বলেন, ঈদুল ফিতরের আগের দিন আমার কাছ বাড়ি যাওয়ার কথা বলে আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি একই এলাকার আসলাম হাওলাদার নিয়ে যায়। এ সময় সে কৌশলে আমার মানিব্যাগ থেকে মোটরসাইকেলের কাগজ নিয়ে যায়। পরে আমি বারবার মোটরসাইকেল ফেরত চাওয়া সত্ত্বেও সে আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে উল্টো আমার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে ৬০ হাজার টাকা চুক্তি করে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে এবং ৫০ হাজার টাকা বাকি রেখে একটি ব্লাংক চেক দিয়ে আমি মোটরসাইকেলটি ফেরত আনি। বিষয়টি লোক লজ্জার ভয়ে আমি কাউকেই জানাইনি। কয়েকদিন ধরে আসলাম আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চায়। আমি মান ইজ্জত যাওয়ার ভয়ে গতকাল ব্যাপক চেষ্টা করেছি, এমনকি বেশ কয়েকজনের কাছে সুদে টাকা আনার জন্যও চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোথাও টাকা পাইনি। গতকাল আমাদের বাড়ির পাশে মাহফিল চলছিলো। রাত নয়টার দিকে মাহফিলে যাওয়ার সময় আসলাম আমাকে ডেকে সিগারেট খাওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন বিলের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে সেখানে বসে আসলাম ও তার চাচাতো ভাই বাদল ৫০ হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে আমাকে ব্যাপক মারধর করে বিলের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। এসময় আমি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসলাম হাওলাদার বলেন, শাহিদ আমার চাচাতো ভাই বাদল তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এজন্য বাদল তাকে মারধর করে। আমি শাহীনকে ওখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। আমি শাহীনকে মারধর করিনি ও তার কাছে কোন টাকা দাবি করিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে বাদল বলেন, গতকাল রাতে শাহিন আমার বাড়িতে গিয়ে আমার স্ত্রীকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। আমার স্ত্রী রাজি না হয়ে। শাহিন বাড়িতে এসেছে আমাকে বাজে কথা বলে তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো বলে ফোন করে। আমি বাড়ির সামনে আসলে শাহীনকে রাস্তার উপর দাঁড়ানো দেখতে পাই। শাহীনকে আমি বাড়িতে আসার কারন জিজ্ঞেস করলে সে দৌড় দেয়। তখন আমি লাঠি দিয়ে শাহীনকে দুটি বাড়ি মারি। এ সময় আসলাম এসে আমার হাত থেকে শাহিনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম বলেন,এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।