কাজী নজরুল ইসলাম, চাঁদপুরঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে স্বামীর পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় ফেরদৌসী বেগম নামে এক গৃহবধুর শরীরে কেরোসিন ঢেলে হত্যা করার পর নদীর তীরে ফেলে রেখে যায এক পাষণ্ড স্বামী।বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে মতলব উত্তর উপজেলার গাজীপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার ২৫ অক্টোবর বেলা ১১ টায় উপজেলার মেঘনা ধনাগোদা নদীর তীরে চরমাছুয়া খেয়াঘাট এলাকা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর স্বামী ইয়াছিন কে আটক করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামীর পরকিয়ায় বাধা দেওয়া ও সাংসারিক ছোটখাটো দ্বন্দ্বকলহে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, জেলার, মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের শাহ আলম এর ছেলে অটো রিকশাচালক ইয়াসিন তার স্ত্রী ফেরদৌসি বেগমকে শুক্রবার রাতে হত্যা করে মেঘনা ধনাগোধা নদীর চরমাছুয়া এলাকায় ফেলে দেয়। পরে সকাল ৭ টার দিকে এক পথচারী লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দিলে তারা পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে নিহত ফেরদৌসী বেগমের বড় বোন মনোয়ারা বেগম জানান, শুক্রবার ভোরর ৫ টার দিকে ইয়াসিন ফোন দিয়ে বলেন, আপনার বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না। পড়ে মনোয়ারা ও তার আত্মীয় স্বজনরা বোনের বাড়িতে গেলে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। ইয়াসিনকে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করে না। পরে খবর পেলাম সে আমার বোনকে মেরে নদীতে ফেলে রেখেছে। এদিকে স্থানীয়রা ঘাতক স্বামী ইয়াসিন কে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তবে পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড এ ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানায়। নিহত ফেরদৌসী বেগম ২ সন্তানের জননী।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হক বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই এবং ঘাতক স্বামী ইয়াসিন বাগকে আটক করি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।