বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলী এ উপজেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মান প্রকল্পের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিরুদ্বে। মূল ডিজাইন ঠিক রেখে গ্রেট ভীম, কেচিং সহ তাদের খুশীমতো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে আবাসন নির্মাণ করেছেন বলে ভূক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো অভিযোগ করেন।
তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে অসহায় দরিদ্র ও মুক্তিযোদ্ধাদের ৯টি (বীর নিবাস) নির্মাণ কাজের জন্য ১কোটি ২০ লক্ষ ৯২ হাজার ৫৬২ টাকা বরাদ্ব দেয়া হয়।
২০২১ সালের নভেম্বরে কাজ শুরু করে ২০২২ সালের জানুযারীতে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও ২২ মাসেও মুক্তিযোদ্বাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।তালতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্বা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্বা মোসলেম আলী হাওলাদার বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্টান শুরু থেকেই অনিয়ম করে আসছিল। আমরা বেশ কয়েকবার বাঁধা দিলেও তারা গুরুত্ব না দিয়ে কাজ করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, গ্রেটভিম নিচে সঠিক ভাবে দেয়া হয়নি। কেচিং সহ অনেক কাজ ঠিক মত না করায় হস্তান্তরের আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহার করার অভিযোগও তিনি করেন এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্বাদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে তালতলী প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ মুহিবুল ইসলাম বলেন, সরেজমিনে গিয়ে কাজের ত্রুটি পাওয়া গেছে। আমরা বলেছি, মুক্তিযোদ্বারা যতক্ষন পর্যন্ত সঠিক কাজ হয়েছে প্রত্যায়ন না দিবে চূড়ান্ত বিল দেয়া হবেনা।
ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স শফিকুল ইন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধীকারী বলেন, কিছু ত্রুটি ছিলো তা ঠিক করা হয়েছে। আমরা অনেকবার বুঝে নিতে বলেছি । তিনি বলেন, এরপরও যদি ত্রুটি থাকে ঠিক করে দেয়া হবে। একই অভিযোগ বামনা উপজেলায় বীর নিবাস নির্মানে পাওয়া গেছে। বামনা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৬টি আবাসন নির্মানে ৭৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬ শ’টাকা বরাদ্ব দেয়া হয়।নির্মানে অনিয়ম আর ত্রুটির অভিযোগ এনে মুক্তিযোদ্বারা বুঝে নেননী।
মুক্তিযোদ্বা আমির হোসেন বলেন, এতো নিম্নমানের সামগ্রী দেয়া হয়েছে হস্তান্তরের আগেই তা নস্ট হয়ে যাচ্ছে।দরজায় নিম্নমানের কাঠ দিয়ে ফ্রেম করায় তা বাঁকা হয়ে গেছে। বিদূ্ৎ ওয়েলিং করা হয়েছে নাজুক।
তিনি অভিযোগ করেন, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে দেয়ালে ফাটল ধরেছে। নলকূপ, সেপটি ট্যাংকি সহ অনেক কাজ করা হয়নি।
বামনা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, পরিদর্শন করে আমরা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। আর্থিক সংকটের কারনে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেননি বলে জানিয়েছে। সকল কাজ ঠিকমত করা না হলে ঠিকাদার চূড়ান্ত বিল পাচ্ছে না বলে তিনি বলেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তদারককারী রিয়াজ মোল্লা বলেন, কাজ সঠিকভাবেই সম্পন্ন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের ঘরে ফাটলের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে তা মেরামত করে দেবো।