বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বানারীপাড়ায় উদয়কাঠি ইউনিয়নের তেতলা পিজিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার এক মাস পরে ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রীর পিতা মো. হেলাল ঘরামী বাদী হয়ে স্থানীয় শেরে বাংলা বাজার সংলগ্ন খালের খেয়া মাঝি মো. ইউসুফকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে,গত ৫ আগস্ট ভোর ৬টার দিকে তেতলা গ্রামের বাড়ি থেকে ওই স্কুল ছাত্রী স্থানীয় শেরেবাংলা বাজার জামে মসজিদে কোরআন শরীফ পড়া শিখতে যান। এ সময় শেরে বাংলা বাজারের খালের খেয়া মাঝি তিন কন্যা সন্তানের জনক মো. ইউসুফ খেয়া পারাপারের সময় ওই কিশোরী স্কুল ছাত্রীকে ভুল বুঝিয়ে ও ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ফাঁকা ঘরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী পরে নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে মা-বাবার কাছে বিষয়টি জানায়। তারা বিষয়টি জেনে ওই দিনই থানায় মামলা দায়েরের সিন্ধান্ত নেয়। কিন্তু ধর্ষক ইউসুফের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মন্টু মিয়া সুবিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে মামলা দায়ের করা থেকে বিরত রাখেন। ঘটনার ৪ দিন পরে এক রাতে ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া দুই পক্ষকে নিয়ে তার বাড়িতে বসে শালিস-বৈঠকে ওই ছাত্রীর ইজ্জতের মূল্য ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেন। ওই বৈঠকে স্থানীয় সেলিম, মোক্তার ও শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অভিযুক্ত ইউসুফ জরিমানার টাকা দেওয়ার বিষয়ে ১৫ দিনের সময় নিয়ে গাডাকা দেন। এদিকে শালিস-বৈঠকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করার কথা বৈঠকে উপস্থিত অন্যরা স্বীকার করলেও ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া অস্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন,অভিযোগ পেয়ে মামলা নেওয়া হয়েছে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন,ইউপি সদস্য মন্টুকে থানায় ডেকে এনে জিঙ্গাসাবাদ করা হয়েছে।