আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবান। অরবান তাঁর এই সফরকে ‘শান্তিরক্ষা মিশন’ বলে অভিহিত করেছেন। চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর এবার তিনি বেইজিংয়ে গেলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার এই মিশন ফলপ্রসূ করতে অরবান এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সি’র সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তার বিশদ বিবরণ না দিলেও অরবান বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তির পরিবেশ তৈরিতে চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। এ কারণেই আমি বেইজিংয়ে সি’র সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক টুইটে অরবান তাঁর ও চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হুয়া চুনিংয়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘শান্তি মিশন ৩.০ বেইজিং।’ অরবানের বেইজিং সফরের খবরটি প্রথম জানায় হাঙ্গেরিয়ান নিউজ পোর্টাল ‘ট্রিপল ফোর’। রোববার (৭ জুলাই) পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোরে প্রধানমন্ত্রী অরবান এশিয়া সফর করবেন।
এর আগের সপ্তাহে অরবান কিয়েভ সফর করেন। এই সফরে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানান। কিয়েভ সফরের পরই আকস্মিক সফরে মস্কোতে যান হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। এই সফরকেও তাঁর ‘শান্তিরক্ষা মিশনের’ অংশ বলে জানায় অরবানের কার্যালয়।
মস্কো সফরে অরবান ও পুতিন কয়েক ঘণ্টা খোলামেলা আলোচনা করেন। ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে দ্রুততম পন্থা খুঁজে বের করার বিষয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। যদিও মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে এখনো অনেক মতপার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে অরবান বলেন, ‘জেলেনস্কি তার প্রস্তাবগুলো খুব একটা পছন্দ করেননি।’
অরবানের রাশিয়া সফর কিয়েভ ও ইইউ নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, সংঘাত বন্ধ করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘যোগাযোগ স্থাপন’। সে সময় তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ম্যান্ডেটের প্রয়োজন নেই।’
সম্প্রতি ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেয়েছেন ভিক্তর অরবান। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ২ জুলাই কিয়েভ সফরে যান হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। এরপর মস্কো হয়ে চীন সফর করছেন ভিক্তর অরবান।