সোহরাব,বরগুনা সংবাদদাতাঃ
বরগুনার পাথরঘাটায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হোসাইনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার প্রতিবাদে ন্যায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আহত এনামুল হোসাইন এর মা মোসা: নাজমা বেগম। পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
এ সময় তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন আমার ছেলে এনামুল হোসাইন বরগুনা জেলা পরিষদের একজন সাবেক নির্বাচিত সদস্য ও পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পাথরঘাটা বি এফ ডিসির সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনি দোয়াত-কলম মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, এনামুল হোসাইন এর জনপ্রিয়তা দেখে বর্তমান সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা এমপির সমর্থিত প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির কাপ পিরিচ মার্কার প্রার্থীর নির্দেশনায় ও এমপির কন্যা ফারজানা সবুর রুমকির নির্দেশে নির্বাচন শুরু থেকে একেরপর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, আমার ছেলের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করে করছে, তাতেই ক্ষান্ত হয়নি, ঘটনার দিন আমার ছেলের নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ভাঙচুর করলে খবর শুনে এনামুল হোসাইন ঘটনাস্থলে গেলে মোস্তফা গোলাম কবিরের সমার্থক কাকচিড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর ছেলে রাজনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ছেলে সহ তার নেতা কর্মীদের উপর দফায় দফায় রামদা, ছেনা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়, এবং কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এতে আমার ছেলে সহ ৩০ জন গুরুতর আহত হয়।
উল্লেখ্য যে আহতরা প্রত্যেকেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী। এ ঘটনায় নয় জনকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী ও পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১০ জনকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে এদের মধ্যে চারজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হোসাইন বলেন, আমার গণ জোয়ার দেখে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী নির্বাচন বানচাল করার জন্য কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর ছেলে রাজন আহম্মেদ আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবিরের পক্ষ নিয়ে আমার কাকচিড়া ইউনিয়নের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে কিছু কর্মী নিয়ে সেখানে গেলে আমাকে ও কর্মীদের কুপিয়ে জখম করে রাজন ও তার সহযোগীরা। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করে।
উল্লেখ্য, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৯ মে হওয়ার কথা ছিল। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে তা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন আগামী ৯ জুন ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করেছে। এ ঘটনায় পাথরঘাটায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হবে কিনা চিন্তিত সাধারণ ভোটাররা।