অনলাইন ডেস্কঃ
সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মামলায় আবারও আদালতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুনানি শুরু হবার আগেই আদালতে উপস্থিত হন ট্রাম্প। তবে তিনি আদালতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- তার বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন ‘উইচ হান্ট’ শুরু করেছে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য।
আদালত পক্ষপাতহীনভাবে বিচারকাজ চালাচ্ছে না বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন তার (ট্রাম্পের) তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন। সরকারি আইনজীবীরা বলছেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এই বেআইনি কাজ করা হয়েছিল।
ম্যানহাটান ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয় অভিযোগ করেছে, পর্ন তারকার জন্য কোহেনকে দেওয়া অর্থকে ট্রাম্প অবৈধভাবে আইনি ব্যয় হিসেবে দেখাতে গিয়ে আইন ভঙ্গ করেছেন। এছাড়াও বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারকাজ পরিচালনার জন্য চলতি সপ্তাহে ১২ সদস্যের জুরি গঠন করা হয়েছে। এরপরই শুরু হল প্রাথমিক আইনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পর্ব।
সোমবার আদালতে ঢুকতে ঢুকতেই ট্রাম্প বলে ওঠেন, আজ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব, খুবই দুঃখের দিন। এই বিচারকে ‘খুবই অন্যায়’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়েছিলেন ট্রাম্প। ওইদিন ছিল আদালতে ট্রাম্পের বিচার শুরুর প্রথম দিন। সেদিন আদালতের সামনে বিক্ষোভকারীসহ উৎসুক জনতা ভিড় করেছিল। বিচার কাজ চলার সময় আদালতের বাইরে গায়ে আগুন দেন এক যুবক। পরে তার মৃত্যু হয়। ট্রাম্প দোষী নাকি নির্দোষ- তা কয়েক সপ্তাহব্যাপী আইনি যুক্তিতর্কের মাধ্যমে মূল্যায়ন করবেন বিচারক।
তবে ফৌজদারি মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্তই হোন বা তার কারাদণ্ড যা-ই হোক না কেন- তাতে তার প্রেসিডেন্ট পদের যোগ্যতায় কোনও প্রভাব পড়বে না। বরং ট্রাম্প জেলে থেকে কিংবা গৃহবন্দি থেকেও প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিতে পারবেন, যদি দোষী সাব্যস্ত হওয়া কিংবা সাজা পাওয়ার পরও তিনি নির্বাচনে জয় পান। সূত্র: রয়টার্স