রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর হাট-বাজার গুলোতে দেশীও পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দাম চড়া। নয় উপজেলার কৃষি বিভাগের তথ্য মতে জেলার বিভিন্ন কৃষকের ঘরে ঘরে শত শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ মওজুত রয়েছে। চাষীরা বেশি দামের আশায় অল্প অল্প করে হাট-বাজারে ছাড়ছেন পেঁয়াজ।
অপরদিকে, ব্যবসায়ীরাও আরো বেশি দাম পাওয়ার আশায় পেঁয়াজ গুলো তাদের নিজস্ব গুদামে মওজুত রাখা শুরু করেছে। ফলে রাজশাহীতে পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও পেঁয়াজের দাম কমছেনা। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের মতে, সেচের পেঁয়াজ নাওঠা পর্যন্ত সহসা কমছে না দাম। তবে ভোক্তারা বলছেন, এখনই পেঁয়াজের দাম এতো বেড়ে গেলে আর কিছুদিন পর রমজান মাসে আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, এলসি বন্ধ থাকার কারণে বাজার ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বলছেন ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজ আমদানি না করা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলেও জানাচ্ছেন তারা।
ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম যেভাবে বাড়ছে এতে ক্রমেই পণ্যটি সাধারণ ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। দাম বাড়ার পেছনের স্থানীয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন ক্রেতারা। এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ চান তারা।
শুক্রবার জেলার তাহেরপুর পৌরসভা হাটে দেশি জাতের পেঁয়াজ প্রতিমণ ৪ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায় প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম। এখন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ থেকে ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
হাটে আসা ভোক্তারা বলছেন, এখনই পেঁয়াজের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে রমজান মাসে প্রতি কেজি পেঁয়াজের ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তারা দাবী করে বলেন, রমজান উপলক্ষে এখনই ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কিনে মওজুদ করে রাখছেন ।
এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের উপর প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো দরকার বলে জানান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।
জেলা বাজার নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বলছেন, পেঁয়াজের দাম ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব পেঁয়াজ হাট-বাজারে আসছে। এখন চাষির ঘরে ৩০ শতাংশ ও ব্যবসায়ীদের কাছে ৭০ শতাংশ পেঁয়াজ মজুদ আছে। তিনি আরোও বলেন, বেশি দামের কারণে চাষিরা বেশি পেঁয়াজ হাট-বাজারে না ছেড়ে অল্প অল্প করে বিক্রি করছেন।