নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর শিবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে স্থানীয় এমপি ও তার ভাইয়ের অনুসারী মৎস্যজীবী দল নেতা সেলিম ভূঞাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর আজ দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস বিফিং করে এই তথ্য জানান নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বান চৌধুরী। এর আগে শনিবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও শিবপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ধারালো চাপাতি ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সেলিম ভূঞা মৎস্যজীবী লীগ নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলেও বাস্তবে সে শিবপুর পৌর মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি জহিরুল হক ভূইয়া মোহনের অনুসারী ও তার ভাই জুনায়েদুল হক জুনুর ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
প্রেস কনফারেন্সে নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বান চৌধুরী তিনি জানান, শিবপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশের একটি জমি নিয়ে সেলিম ভুইয়া ও নাইমুল ইসলাম অপির পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে শনিবার বেলা ৩টার দিকে বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেলিমসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। পরে সেলিমের শরিরে তল্লাশি চালিয়ে ১টি পিস্তল উদ্ধার করে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো চাপাতিসহ ঘটনাস্থল হইতে বিস্ফোরিত ককটেল এর অংশবিশেষ উদ্ধার করে।
আটককৃতরা হলেন শিবপুর পশ্চিমপাড়ার রব ভুইয়ার ছেলে সেলিম ভুইয়া, দক্ষিণ পাড়ার সাদেক মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া, শিবপুর ভুইয়া মার্কেটের তমিজউদ্দিনের ছেলে আরিফ হোসেন, শিবপুর পশ্চিম পাড়ার সেকান্দর আলীর ছেলে হিরন মিয়া ও একই এলাকার আবুল হাসিমের ছেলে মেহেদী হাসান।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে শিবপুর মডের থানায় অস্ত্র আইন ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা রজু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শিবপুর আওয়ামী মৎসজীবী লীগের সভাপতি জায়দুল শেখ কাউসার বলেন, একাধিক গণমাধ্যমে গ্রেফতারকৃত সেলিমকে মৎস্যজীবী লীগ নেতা উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে সেলিম আওয়ামী লীগ বা মৎস্যজীবী লীগের কেউ নন। সে মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি জহিরুল হক ভূইয়া মোহনের অনুসারী ও তার ভাই জুনায়েদুল হক জুনুর ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। সে অস্ত্রবাজ। একই সাথে সে মাদক ব্যবসায়ী।